মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০৭ অপরাহ্ন
Logo
শিরোনাম :
זונות בירושלים – חשיפה אישית לתוך עולם שמעט מדברים עליו ההשפעה הכלכלית של מתנדבים על הקהילה בירושלים খাগড়াছড়িতে গুলিতে আরও তিনজনের নিহত নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ যুক্তরাষ্ট্র আখতারকে ডিম নিক্ষেপ দায়ী কর্মকর্তাদের শাস্তির দাবি এনসিপি অমর একুশে বইমেলা এবার ডিসেম্বরে Купити бетонну огорожу সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি শামসুদ্দোহা নবাবগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার স্ত্রীর অ্যাকাউন্টেই ৪১ কোটি টাকা। Receive Free SMS Online: Use Our Temporary Disposable Numbers for All Your Personal Messages with Privacy Reserved for You Receive Free SMS Online: Gain Access to Temporary Virtual Phone Numbers Without Worrying About Privacy Issues in Canada with Our Disposable Numbers প্রবাসীদের ভোটার হতে যেসব প্রয়োজনীয় দলিল লাগবে খেলাধুলায় ‘চ্যাম্পিয়ন’ ফিলিস্তিনি কিশোরকে মরতে হলো খাবারের অভাবে বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদের কোনো স্থান নেই। মার্কিন দূতকে প্রধান উপদেষ্টা ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা কেন জোহরান মামদানিকে আক্রমণ করছেন গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে হামলা-সংঘর্ষে নিহত ২ গুলিবিদ্ধ আহত ৯ Crafting Your Own Round Stamps Online: Achieve Savings on Time and Money for Your Company Using Our Unique Stamp Builder

কর্মকর্তাদের যোগসাজশে লুট হয় ৫৫ কেজি সোনা

রিপোটারের নাম
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৬৩৬ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
কর্মকর্তাদের যোগসাজশে লুট হয় ৫৫ কেজি সোনা
কর্মকর্তাদের যোগসাজশে লুট হয় ৫৫ কেজি সোনা

স্বাধীন সকাল রিপোর্ট : চার মাস আগে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসের গুদামের সিসিটিভি ক্যামেরা বিকল হয়ে যায়। ওই বিকল সিসিটিভি ক্যামেরা মেরামত বা নতুন করে আর প্রতিস্থাপন করা হয়নি।
সেই সুযোগে পরিকল্পিতভাবে গুদামের লকার থেকে পর্যায়ক্রমে লুট করা হয় ৫৫ কেজি ৫১ গ্রাম সোনা। সোনা লুটের সঙ্গে ঢাকা কাস্টম হাউসের একাধিক কর্মকর্তা জড়িত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টম হাউসের গুদামের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও চার সিপাহীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে বিমানবন্দর থানা পুলিশ। তবে জিজ্ঞাসাবাদে সন্দেহভাজন আটজনই ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিচ্ছেন। এতে মামলার এজাহারে থাকা তথ্যের সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদে সন্দেহভাজনদের তথ্যের মিল পাওয়া যাচ্ছে না। সোনা লুটের ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে মামলার এজাহারে গুদামের লকার ভেঙে সোনা চুরি যাওয়ার মিথ্যা তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তদন্ত কর্মকর্তারা।
তারা বলছেন, ঢাকা কাস্টম হাউসের নিজস্ব গুদামে সাধারণত কোনো ব্যক্তির প্রবেশ করার সুযোগ নেই। এ ছাড়া গুদামে থাকা এসির হাওয়া বের হওয়ার স্থানে টিন কেটে কোনো চোরের পক্ষে এক রাতে এত সোনা চুরি করে কেপিআই-এর মতো নিরাপদ জায়গা থেকে বের হওয়া সম্ভব নয়। কয়েক মাস ধরে পরিকল্পিতভাবে গুদামের লকার থেকে এসব সোনা লুট করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর এই লুটের ঘটনাটি ও প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করে চুরির নাটক সাজিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ, অডিটে যাতে কাস্টমস হাউসের কোনো কর্মকর্তা ফেঁসে না যায়।
পুলিশ হেফাজতে থাকা চার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও চার সিপাহী জিজ্ঞাসাবাদে গরমিল তথ্য দিয়েছেন। গুদামের ভেতরে সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকা এবং দীর্ঘদিন ধরে বাইরের সিসিটিভি ক্যামেরা বিকল থাকার বিষয়ে গরমিল তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়াও সোনা চুরির সম্ভাব্য সময় ও চুরির গতিপথ, সেখানে চুরির আলামত না থাকা এবং মামলার এজাহারের তথ্য, সবকিছুতেই গরমিল পাওয়া গেছে। তবে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সার্বিক বিষয়ে তদন্ত চলছে।
পুলিশ হেফাজতে থাকা আটজনকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যে নিশ্চিত হওয়া গেছে বিমানবন্দরে ঢাকা কাস্টম হাউসের গুদামে থাকা লকার থেকে ৫৫ কেজি ৫১ গ্রাম সোনা লুটে জড়িত রয়েছে কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি চক্র।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, কাস্টম হাউসের গুদামের নিরাপত্তার দায়িত্বে কর্মরত ছিলেন ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’ ও ‘ডি’ শিফটের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মাসুম রানা, সাইদুল ইসলাম শাহেদ, শহিদুল ইসলাম ও আকরাম শেখ। এছাড়াও ছিলেন রেজাউল করিম, মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, আফজাল হোসেন ও নিয়ামত হাওলাদার নামে চার সিপাহী। মামলা দায়েরর পর প্রথমে চার সিপাহীকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এরপর গুদামের দায়িত্বে থাকা চার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সোনা লুটের ঘটনায় সিপাহীদের মধ্যে একজনের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া গেছে। তার দেওয়া তথ্যের মধ্যে দুই সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তার নাম উঠে এসেছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এক সিপাহীসহ দুই সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা বিভাগের তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, গায়েব হওয়া সোনা ২০২০ থেকে ২০২৩ সালে বিভিন্ন সময় জব্দকৃত। কিন্তু মামলার এজাহারে ডিএম নম্বর পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, গায়েব হওয়া সোনাগুলো গুদামে এসেছিল চলতি ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যকার সময়ে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিমানবন্দর জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সন্দেহভাজন হিসেবে পুলিশ গুদামের চার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও চার সিপাহীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে এ ঘটনায় এক সিপাহী ও দুই সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তার কাছে চুরি সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে।
বিমানবন্দর রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা (কেপিআই) উল্লেখ করে ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোর্শেদ আলম বলেন, বিমানবন্দরের ভেতরের সব জায়গা সিসিটিভি ক্যামেরায় নজরদারিসহ সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার মধ্যে রাখা হয়। অথচ ঢাকা কাস্টম হাউসের গুদামে সিসিটিভি না থাকাটা উদ্বেগজনক।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে সোনা চুরির কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। একটি বিষয় পরিষ্কার, কাস্টম হাউসের নিজস্ব গুদামে যার-তার প্রবেশের সুযোগ নেই। সেখানে এক রাতে বাইরের কেউ এসে গুদাম থেকে সোনা চুরি করে যেতে পারবে না। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে। সূত্র : বাংলানিউজ।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2024 swadhinsakal.com Design By Ahmed Jalal.
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD
jphostbd.com