……………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………..
১০৩ বার পেছাল। সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ আবার পিছিয়েছে। এ নিয়ে এই মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ ১০৩ বার পেছাল। আদালতে দাখিলের ধার্য তারিখ ছিল আজ বৃহস্পতিবার। কিন্তু র্যাবের পক্ষ থেকে আজও সাগর-রুনি হত্যার ১০৩ বার পিছিয়ে যাওয়ার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা আদালতে দেওয়া হয়নি।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএম.এম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন আগামী ১৯ ডিসেম্বর এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় সাংবাদিক সাগর-রুনি নৃশংসভাবে তাদের হত্যা করা হয় । সাগর মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক ছিলেন। রুনি ছিলেন এটিএন বাংলার সিনিয়র প্রতিবেদক।
সাগর-রুনি হত্যার ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম বাদী হয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। প্রথমে এই মামলা তদন্ত করছিল শেরে বাংলা নগর থানার পুলিশ। চার দিন পর মামলার তদন্তভার ঢাকা মহা নগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবির) নিকট হস্তান্তর করা হয়।
তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার ৬২ দিনের মাথায় ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হাই কোর্টে ব্যর্থতা স্বীকার করে (ডিবি) । এরপর আদালত র্যাবকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। তখন থেকে মামলাটির তদন্ত করছে র্যাব।
আদালতে জমা দেওয়া র্যাবের অগ্রগতি প্রতিবেদনে বলা হয়, অজ্ঞাতপরিচয়ের দুই পুরুষকে শনাক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের ইনডিপেনডেন্ট ফরেনসিক সার্ভিসেস (আইএফএস) ল্যাবে ডিএন.এ নমুনা পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে ছবি প্রস্তুতের চেষ্টা চলছে।
তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো সম্প্রতি প্রথম আলোকে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ডিএনএ ল্যাবের ফলাফল জেনেছে র্যাব। তবে অজ্ঞাতপরিচয়ের দুজনের ডিএনএ থেকে ছবি তৈরির সন্তোষজনক ফল আসেনি।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এখন পর্যন্ত ছয় কর্মকর্তা মামলাটির তদন্ত করেছেন। বর্তমানে দুজন জামিনে আছেন, বাকি ছয়জন কারাগারে। এর মধ্যে র্যাবের চার কর্মকর্তা আছেন।