শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২২ পূর্বাহ্ন
Logo
শিরোনাম :
ডক্টর ইউনূসের সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক বেইত লাহিয়া থেকে পালানোর সময় ফিলিস্তিনি পুরুষদের আটক ইসরায়েলি বাহিনী ইসরায়েলকে আরও ৬৮ কোটি ডলারের অস্ত্র দিচ্ছে বাইডেন প্রশাসন আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু গ্রেপ্তার আমেরিকা (যুক্তরাষ্ট্রের) নির্বাচনে কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প מגמות עולמיות בשירותי ליווי עצות לפגישות חמות ואינטימיות Ціни на бетонні огорожі: что нужно знать перед покупкой שיטות שיחה למפגשים מוצלחים বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের সাক্ষাৎ বাবা সিদ্দিকির ও তাঁর ছেলেকেও হত্যার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল রংপুরে তাপসী তাবাসসুমকে স্থায়ী বরখাস্তের দাবিতে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন বরিশাল বায়তুল মোকাররম মসজিদের সভাপতির পদ থেকে স্বৈরাচারের দোসর আ’লীগ নেতা বাবলুর অপসারণের দাবি সব বিভাজন দূর করে জনগণের ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে: জোনায়েদ সাকি আনোয়ার ইব্রাহিম ঢাকায়, স্বাগত জানালেন ড. ইউনূস হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলা, তীব্র হচ্ছে লড়াই

সাইবার নিরাপত্তা বিল ঢেলে সাজানোর আহ্বান টিআইবির

রিপোটারের নাম
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৩৮৫ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
সাইবার নিরাপত্তা বিল ঢেলে সাজানোর আহ্বান টিআইবির
সাইবার নিরাপত্তা বিল ঢেলে সাজানোর আহ্বান টিআইবির

স্বাধীন সকাল রিপোর্ট : সাইবার নিরাপত্তা আইন-সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা ও চর্চার আলোকে এবং সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনার প্রেক্ষিতে ‘খসড়া সাইবার নিরাপত্তা বিল-২০২৩’ সম্পূর্ণরূপে ঢেলে সাজাতে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিসহ সব সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। শুক্রবার (০৮ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এই আহ্বান জানায় সংস্থাটি।
বার্তায় বলা হয়, বিলটি যেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অনুরূপ মত, চিন্তা, বিবেক, বাক ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণের হাতিয়ারে পরিণত না হয়, তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট স্থায়ী কমিটির সদস্য, সব মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জোড়ালো ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে বৃহস্পতিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ থেকে খসড়া সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩ : তুলনামূলক পর্যালোচনা ও সুপারিশ’ শীর্ষক টিআইবির কার্যপত্রটি ই-মেইলে পাঠিয়েছে সংস্থাটি।
কার্যপত্রটির সঙ্গে পাঠানো এক বার্তায় টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, সংশ্লিষ্ট স্থায়ী কমিটি ও সব সংসদ সদস্যদের বলেন, ডিএসএ রহিত করে এর স্থলে প্রস্তাবিত সিএসএ ২০২৩ প্রণয়ন করার সিদ্ধান্তই প্রমাণ করে যে, ডিএসএর ব্যবহার ও অপব্যবহারের মাধ্যমে বাকস্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মতো বিভিন্ন মৌলিক মানবাধিকারের ব্যাপক লঙ্ঘনের ফলে জনমনে যে উদ্বেগ ও নিরাপত্তাহীনতাবোধ তৈরি হয়েছে, সরকার তা অবসানের বাধ্যবাধকতার যথার্থতা উপলব্ধি করেছে।
একইসঙ্গে যৌক্তিকভাবে মানুষের মধ্যে এরূপ প্রত্যাশা জন্ম নিয়েছে যে, যেসব কারণে ডিএসএ রহিত করা হচ্ছে, সিএসএতে সেসব উপাদান থাকবে না এবং এর পরিধি ও উদ্দেশ্য হবে সুনির্দিষ্টভাবে সাইবার অবকাঠামো, ইন্টারনেট ও সংশ্লিষ্ট সব ডিজিটাল প্লাটফরমের নিরাপত্তা এবং এসবের অবাধ ও নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ও পর্যাপ্ত আইনিকাঠামো তৈরি করা।
এ প্রেক্ষিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক কার্যপত্রটিতে উপস্থাপিত বিশ্লেষণ ও সুপারিশ বিবেচনায় নিয়ে খসড়া সিএসএ বিল ২০২৩ এর প্রয়োজনীয় সংশোধন ও অনুমোদন প্রক্রিয়ায় তাদের ভূমিকা পালনের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেন।
‘খসড়া সিএসএ বিল-২০২৩’ এ ডেটা ও তথ্য অপসারণে বিটিআরসি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবারিত ক্ষমতা এবং অনেক বিষয়ের সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞার পরিবর্তে ডিএসএ ২০১৮ এর মতো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ধারণার ওপর ভরসা করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার মতো ঝুঁকিপূর্ণ বিধান রাখা হয়েছে।
ডিএসএর সব নিবর্তনমূলক উপাদানসহ এর সিংহভাগ ধারাই সিএসএতে হুবহু প্রতিস্থাপিত হয়েছে উল্লেখ করে টিআইবি বলছে, ক্ষতিকর কন্টেন্ট অপসারণ করার প্রয়োজন আছে, তবে তা সীমিত পরিধির মধ্যে থাকতে হবে এবং বাংলাদেশের সংবিধান ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন এবং ইন্টারন্যাশনাল কভেনেন্ট অন সিভিল অ্যান্ড পলিটিকাল রাইটসের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। সর্বোপরি প্রস্তাবিত আইনের বিভিন্ন ধারার মাধ্যমে মত প্রকাশ, ভিন্নমত, চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা চর্চা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে কর্তৃপক্ষের ইচ্ছামতো অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করার সুযোগ রাখা হয়েছে, যা উদ্বেগজনক।
এই বিলে দক্ষতা ও সক্ষমতাকে বিবেচনা না করে এবং বিচারিক নজরদারি ব্যতিরেকে অপরাধ তদন্ত এবং আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে পুলিশকে ঢালাও ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, প্রয়োজ্যক্ষেত্রে বিচারিক নজরদারির যে সক্ষমতা দরকার, তা আছে কি-না, তা বিবেচনা করা হয়নি। অনেক ক্ষেত্রে কারাদণ্ড বাদ দিয়ে অর্থদণ্ডের কথা বলা হয়েছে, যা বাস্তবে যে কৌশলে সাংবিধানিক অধিকারকে অপরাধ হিসেবে পরিগণিত করা, তা এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই।
মত ও তথ্য প্রকাশের স্বাধীনতার চর্চার কারণে মানহানির মতো অভিযোগের প্রচলিত আইনে বিচার করা সম্ভব, এমন অনেক বিষয় অযৌক্তিকভাবে এই বিলের আওতাভুক্ত করা হয়েছে। অথচ আন্তর্জাতিক চর্চা অনুযায়ী সাইবার নিরাপত্তা আইনের জন্য অপরিহার্য অনেক উপাদান এই খসড়ায় নেই এমন বেশকিছু বিষয় সংশোধিত খসড়ায় অন্তর্ভুক্ত করতে সুপারিশ করছে টিআইবি।
টিআইবি সংশ্লিষ্ট খাতের বিশেষজ্ঞ, নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমসহ সব অংশীজনকে সম্পৃক্ত করে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতার আলোকে খসড়া সিএসএ বিল-২০২৩ ঢেলে সাজাতে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিকে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছে। একই সঙ্গে উল্লিখিত কার্যপত্রটিতে উপস্থাপিত বিশ্লেষণ ও সুপারিশের বিষয়ে কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে উভয়পক্ষের সুবিধাজনক সময়ে সাক্ষাতে আলোচনা করতেও আগ্রহ প্রকাশ করছে সংস্থাটি।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2024 swadhinsakal.com Design By Ahmed Jalal.
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD
jphostbd.com