ইউনিভার্সেল নিউজ ডেস্ক : গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ‘সব বিভাজন দূর করে সব জাতিসম্প্রদায়ের মানুষ তথা ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গভেদে এই রাষ্ট্র পার্থক্য করবে না, বৈষম্য করবে না। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মূল ভিত্তি হচ্ছে, সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। এই ভিত্তি ধরে জনগণের ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যেভাবে লুটপাট, দুর্নীতি ও দুঃশাসন, স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্যে ৫৩ বছরে বাংলাদেশ চলেছে; সেভাবে আর চলতে দেওয়া হবে না।’ শুক্রবার (৪ অক্টোবর) গণসংহতি আন্দোলন গাজীপুর জেলা আয়োজিত ’২৪-এর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও স্মরণসভায় তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, ‘শহীদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে এই সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কাজেই শহীদদের সংগ্রামী আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা যাবে না।
‘ফ্যাসিবাদী হাসিনাকে বাংলাদেশের জনগণ উচ্ছেদ করেছে, কিন্তু রাষ্ট্রের ছত্রে ছত্রে ফ্যাসিতন্ত্র বিদ্যমান রয়েছে। ওই পুরনো রাষ্ট্র সংস্কার ও রূপান্তরের সংগ্রামই আমাদের করতে হবে। এই গণঅভ্যুত্থানের বড় অর্জন আওয়ামী ফ্যাসিতন্ত্রকে হারানো।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী শিল্পকারখানায় ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় গার্মেন্টসে যে আন্দোলন এবং গোলমেলে পরিস্থিতি চলছে, সবখানে জরুরি ভিত্তিতে শৃঙ্খলা আনতে হবে। নিয়মতান্ত্রিকভাবে দাবি-দাওয়া তুলতে হবে। গার্মেন্টস নিয়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র করতে দেওয়া হবে না। শ্রমিকরা যাতে সেই ষড়যন্ত্র বুঝে তা নস্যাৎ করে দিতে পারেন সে বিষয়েও শক্ত অবস্থান গ্রহণ করতে হবে।’
গাজীপুর জেলা কমিটির আহ্বায়ক আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দীন পাপ্পু ও কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দীপক রায়।
স্মরণ সভাটি সঞ্চালনা করেন জেলা কমিটির সদস্য লিটন হোসেন। স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য দেন– গাজীপুর জেলা কমিটির সংগঠক ফজলুল হক ফারুক।