স্বাধীন সকাল ডেস্ক : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
প্রিয় সম্মানিত শ্রোতা আশা করি মহান আল্লাহ অসীম কৃপায় আপনারা সবাই ভাল আছেন প্রিয় দর্শক আমরা প্রতিদিন আমল করি, আর প্রতিদিনে শ্রেষ্ট আমল গুলো আপনাদের সামনে এনে হাজির করেছি, রাসুল (সা.) বলেছেন সেই আমলই শ্রেষ্ট ও উত্তম যা প্রতিদিনই করা হয় যদিও তা অল্প পরিমাণ হয়, সুবহানাল্লাহ তাহলে আসুন প্রথম আমলটি জেনে নেই।
সুরা বাকারার ২৫৫ নং আয়াত, যাকে আমরা আয়াতুল কুরসি বলি,এ বিষয়ে রাসুল (সা.) বলেছেন সুরা বাকারার এমন একটি আয়াত রয়েছে যে, আয়াতটি পুরো কুরানের নেতা স্বরুপ, যা পড়ে ঘরে প্রবেশ করলে শয়তান বের হয়ে যায়, অন্য হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন যে ব্যক্তি প্রতি ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়বে, তাকে মৃত্যু ছাড়া অন্য কিছু বেহেশতে যেতে বাধা দিবেনা, রাসুল (সা.) আরো বলেন যে ব্যক্তি তা সকালে পড়বে বিকাল পর্যন্ত জীন শয়তান থেকে আল্লাহর আশ্রয়ে থাকবে, রাতে পড়লে সারারাতে আল্লাহর আশ্রয়ে থাকবে, হাকেম ১/৫৬২ নং হাদিছে বলা হয়েছে।
প্রিয় দর্শক ২ নাম্বার আমল ও জিকির,
সুরা এখলাস, সুরা নাস, এবং ফালাক আপনি ৩বার করে পড়বেন, এ বিষয়ে রাসুল (সা.) বলেছেন যে ব্যক্তি সকাল ও বিকাল এ ৩টি সুরা পাঠ করবে এটা তার জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবে,
যাদু টোনা জিন পরী থেকে হেফাজত থাকবে,
তিরমিযী শরীফে ৩ নং খন্ডের ১৮২ নং হাদিসে রয়েছে, এই সুরা গুলোই তার জন্য যথেষ্ট হয়ে যায়, যদি কেউ এই সুরা গুলো পড়ে,
প্রিয় দর্শক ৩ নাম্বার আমল ও জিকির,
আস্তাগফিরুল্লহ বেশী করে তওবা এস্তেগফার পাঠ করা, রাসুল (সা.) প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০ বার করে এই এস্তেগফার পাঠ করতেন, এবং সাহাবায়ে কেরাম কে বেশী বেশী পাঠ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করতেন, (বুখারী শরীফ ১১/১০১)ও (মুসলিম) এই এস্তেগফার পাঠ কবলে আল্লাহ এমন ভাবে রিযিক দিবেন যেন বৃষ্টির মত রিযিক বর্ষিত হতে থাকবে, এজন্য আস্তাগফিরুল্লাহ পড়তে ভুল করবেন না কারণ সাথে সাথে আল্লাহ গুনাহও মাফ করে দেন,
প্রিয় দর্শক ৪ নাম্বার আমল ও জিকির,
যা ইবনে মাজাহ শরীফে ও নাসায়ী শরীফে এসেছে, আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ইলমান নাফিয়া, ওয়া রিজকান তাইইবাহ, ওয়া আমালান মুতাকাব্বালা
অর্থাৎ হে আল্লাহ তুমি আমাকে উপকারী পবিত্র ইলেম দান করুন এবং পবিত্র রিজিক দান করুন, এবং কবুল যোগ্যা আমল প্রার্থণা করছি, ফজরের পরে দোয়াটি পড়বেন
প্রিয় দর্শক ৫ নাম্বার আমল ও জিকির,
হাসবিয়াল্লাহু লা ইলাহা ইল্লাহু আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়াহুয়া রাব্বুল আরশিল আজিম”
অর্থাৎ যে ব্যক্তি দোয়াটি সকালে ৭ বার সন্ধ্যায় ৭ বার পাঠ করবে, দুনিয়া আখেরাতে চিন্তা ভাবনার জন্য আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবে,
আপনার কোন চিন্তা পেরেশানি আল্লাহ রাখবেন না আবু দাউদ শরীফ ৩২১ নং হাদিস
প্রিয় দর্শক ৬ নাম্বার আমল ও জিকির,
সকাল বেলা আপনি পাঠ করবেন, ”রাদিতু বিল্লাহি রাব্বাও ওয়াবিল ইসলামি দ্বিনা ওয়াবি মুহাম্মাদিন (সা.) নাবিয়াওয়া রাসুলা”
যে ব্যক্তি সকাল বেলায় দোয়াটি ৭ বার পাঠ করবে, বা ৩ বার পাঠ করবে আল্লাহ পাক তার সন্তুষ্ট থাকবেন, আল্লাহ তাকে সর্বদা হাসি খুশি রাখবেন (আবু দাউদ)
প্রিয় দর্শক ৭ নাম্বার আমল ও জিকির,
নামাজের পরে আপনি ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার আলাহামদুলিল্লাহ ৩৪ বার আল্লাহু আকবার, দোয়াটি পাঠ করলে অফুরন্ত সওয়াব দান করবেন, যা হাদিস শরীফে পেয়েছি,
প্রিয় দর্শক আপনি সারাদিন সব খারাপ কিছু থেকে নিরাপদ থাকতে ৩ বার পড়বেন যা (আবু দাউদ) শরীফের হাদিসে রয়েছে ৩২৩ নং দোয়াটি হল।
বিসমিল্লাহিল্লাযি লা ইয়াদুররু মাআসমিহি শাইয়ুন ফিল আরদি ওলা ফিস সামাই ওয়া হুয়াস সামিউল আলিম, রাসুল (সা.) বলেছেন যে ব্যক্তি সকাল বেলা ৩ বার বিকেল বেলা ৩ বার এই দোয়াটি পাঠ করবে, দুনিয়ার কোন কিছুই তার কোন ক্ষতি করতে পারবেনা (আবু দাউদ শরীফ)
প্রিয় দর্শক, যে দোয়াটি বলব এই দোয়াটি যদি প্রতিদিন কমপক্ষে ১ বার করে পড়েন আল্লাহ পাক গোলাম আজাদ করার সমান সওয়াব লিখে দিবেন, ১০টি নেকী লিখে দিবেন, ১০টি পাপ মুছে দিবেন, ১০টি মর্যাদা বুলন্দ করে দিবেন, শয়তান থেকে সর্ন্ধ্যা পর্যন্ত আপনি নিরাপদে থাকবেন (আবু দাউদ ও বুখারী শরীফ)
দোয়াটি হল, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু লাহূল মুলকু ওয়া লাহুল হামদ ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইইন কাদির, এছাড়া বেশী করে দরুদ শরীফ পাঠ করবেন দরুদ শরীফ পাঠ করলে আল্লাহ ও রাসুল খুশি হয়ে যান, ১০ টি গুনাহ মাফ করে দেন, ১০ বার রহমত নাজিল করেন, ১০ বার নেক নজর দান করেন,
আমিন আমিন।