স্বাধীন সকাল ডেস্ক : বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের পেয়ারপুর সংলগ্ন চন্দ্রবিন্দু এগ্রো ফার্ম ও চন্দ্রবিন্দু মডার্ন পলিটেকনিক কলেজ ও চন্দ্রবিন্দু কমপ্লেক্স ভাঙচুর হামলা অগ্নিসংযোগ লুট করেছে দুর্বৃত্তরা। সরেজমিনে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরে দুর্বৃত্তরা রাত নয়টার দিকে প্রথমে পেয়ারপুরে চন্দ্রবিন্দু এগ্রো ফার্মের গেট ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে দুর্বৃত্তরা। এরপরে ভিতরে থাকা কর্মরত তিনজন কর্মচারীকে মারধর করে বের করে দেয়। এবং চন্দ্রবিন্দু মালিকের বিশ্রামাগার এর ভিতরে থাকা মালামাল লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরবর্তীতে ওই ঘরে আগুন দিয়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এরপরে পেয়ারপুর চন্দ্রবিন্দু কমপ্লেক্সে দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে ভাংচুর করে এবং ছয়টি দোকান লুট করে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রাদি জমির দলিল মালামাল লুট করে নিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় বিএনপি’র সভাপতি কুদ্দুস মিয়া, ও কিরণ, শহীদ চৌধুরী, কুদ্দুস, মিয়ার ছেলে অস্ত্র মামলার আসামি শৈশব, হানিফ হাওলাদার এর নেতৃত্বে ৪০ থেকে ৫০জন দুর্বৃত্তরা একত্রিত হয়ে ভাঙচুর করে। এছাড়াও চন্দ্রবিন্দু মডার্ন পলিটেকনিক কলেজের গেট ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে কলেজের দরজা ভেঙে মূল কক্ষে প্রবেশ করে কলেজের মালামাল কম্পিউটার সহ গ্লাস ভাঙচুর করে এবং মালামাল কলেজের কাগজপত্রাদি নিয়ে যায়।
চন্দ্রবিন্দু প্রতিষ্ঠানের পরিচালক কালাম জানান, কবাই ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি কুদ্দুসের নেতৃত্বে যারা এই ধ্বংসাত্মক কাজ করেছে তারা দেশের সম্পদ নষ্ট করেছে। তারা এলাকার শত্রু এবং দেশের শত্রু। তিনি বলেন, আমি প্রতিষ্ঠান করেছি ব্যক্তিগত স্বার্থে নয় এলাকার জনগণের জন্য প্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীরা লেখাপড়া করবে। পেয়ারপুর বাজারে চন্দ্রবিন্দু কমপ্লেক্স করেছি বরিশালে যাতে এলাকাবাসীর যেতে না হয় সেই জন্য উন্নয়ন স্বার্থে নিজের জমিতে ভবন নির্মাণ করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। দুষ্কৃতিকারী কুদ্দুস মিয়ার লোকজন নিয়ে এই ধ্বংযজ্ঞ কর্মকান্ড করেছে। আমি তীব্র নিন্দা জানাই এবং অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের দাবি জানাচ্ছি। চন্দ্রবিন্দুর পরিচালক কালাম জানান এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, যারা এই কাজ করেছে তারা এলাকারই লোক এদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা উচিত।