স্বাধীন সকাল ডেস্ক : বরিশাল নগরীর ৩ নং ওয়ার্ডের কাউনিয়া হাউজিং এলাকায় চাঁদার দাবিতে একই পরিবারের ৪জনকে পিটিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। শনিবার (২৪ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। এরমধ্যে গুরুতর আহত নুরুল হক নুরুর স্ত্রী নাছিমা বেগম (৪০) কে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। অন্যান্য আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।
স্থানীয় ও হামলার শিকার পরিবার সূত্র জানায়, নগরীর গাউসার এলাকার মৃত : ছদম ফকির এর পুত্র ফরিদ ও হোসনাবাদ এলাকার ওহাব পাটোয়ারীর পুত্র শিপনের ইন্ধনে কাউনিয়া হাউজিংয়ের বাসিন্দা প্রবাসী মো: কামরুল ইসলামের কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদার টাকা দাবী করে। তাদের নির্ধারিত ১ লাখ টাকা দিতে অপরগতা প্রকাশ করলে শনিবার সকালে কামরুলের ভগ্নিপতি নুরুর ভাঙ্গারী দোকানে হামলা চালায় গাওয়ারসার এলাকার শানু হাওলাদারের পুত্র নাইম ও আবুল কালামের পুত্র রহিমসহ কয়েক সন্ত্রাসী। প্রথমে ওই দোকানে এসে তারা প্রবাসী কামরুলকে খোঁজাখোঁজি করে। কামরুলকে না পেয়ে দোকানে প্রবাসীর ভাগ্নে ইয়াসিন (১০)কে মারধর করে। এরপর খবর পেয়ে ইয়াসিনের মা নাছিমা বেগম ও খালা শিমুলী দোকানে আসলে তাদেরকেও বেধম মারধর করে। তখন প্রবাসীর বোন নাছিমার গলায় থাকা র্স্বনের চেইন, কানের দুল, নাকফুল ও পার্স ব্যাগ নিয়ে যায়। দুপুর ১টার দিকে বাজার থেকে প্রবাসী কামরুল ঘটনাস্থলে আসলে তাকেও বেধম মারধর করে সন্ত্রাসীরা। এসময় তারা কামরুলকে হত্যার হুমকিসহ দোকান ও বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। বিষয়টি কাউনিয়া থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে প্রবাসী কামরুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মী ফরিদ ও শিপনের ইন্ধনে আমার কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদার টাকা দাবী করে আসছিল। তাদের চাঁদার টাকা না দেওয়ায় এই হামলা হয়েছে। প্রবাসী আরো বলেন, আমি ও আমার পুরো পরিবার এখন জীবনের চরম নিরাপত্তাহীনতার মাঝে বসবাস করছি। যেকোন সময় সন্ত্রাসীরা আমার বড় ধরণের ক্ষতি করতে পারে। এ বিষয়ে চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর আশু দৃষ্টি কামনা করেছেন প্রবাসীর পরিবার।