স্বাধীন সকাল ডেস্ক: সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ঘুষের মামলার সাজার ঘোষণা আগামী নভেম্বরের অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর পর্যন্ত স্থগিত হয়েছে। মার্কিন আদালত বিচারক জুয়ান মার্চান গতকাল শুক্রবার সাজার ঘোষণার দিন ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত পিছিয়েছেন।
রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ট্রাম্পের সাজার ঘোষণা বিলম্বিত করার জন্য আগে থেকেই নানা বিষয়ক আইনি কৌশল অবলম্বন করেছেন তাদের আইন-জীবীরা। এর আগে ১৮ সেপ্টেম্বর সাজার ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়েছিল।
ব্যবসায়িক নথিপত্রে ঘুষের তথ্য গোপনের জন্য মামলায় গত মে মাসে ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করেন নিউইয়র্কের জুরি আদালত। মামলায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৩৪টি গুরুতর অপরাধের বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়। এই প্রথম ইতিহাসে কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট কিংবা সাবেক প্রেসিডেন্টকে অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
বিচারক জুয়ান মার্চান তাঁর সিদ্ধান্তে লিখেছেন, মামলাটি এমন একটি সাজা শুনানির দাবি রাখে, যা সম্পূর্ণভাবে বিচারকদের রায়ের ওপর নির্ভরশীল আছে।
আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তিন সপ্তাহ পর সাজার ঘোষণার দিন ধার্য করে জুয়ান বলেন, তাঁদের রায়ের প্রতি সম্মান জানানো উচিত। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যাতে কেউ অনৈতিক প্রভাব খাটাতে না পারে, সে জন্য সাজার ঘোষণার দিন পেছানো জরুরী ছিল বলে মন্তব্য করেন এ বিচারক।
২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে যৌন সম্পর্কের বিষয়ে মুখ না খুলতে পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর হাতে এই অর্থ তুলে দিয়েছিলেন ট্রাম্পের আইনজীবী মাইকেল কোহেন। জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যবসায়িক নথিতে বিষয়টি গোপন রাখেন তিনি। এ-সংক্রান্ত মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে ৩৪টি অভিযোগ আনা হয়, যার সব কয়টিতেই তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
মার্কিন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সাজার মামলার গত ১১ জুলাই ঘোষণার কথা ঠিক হয়েছিল। কিন্তু ট্রাম্পের আইনজীবীরা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সেটি ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পেছানো হয়। গতকাল দ্বিতীয়বারের মতো সাজার ঘোষণার দিন পেছানো হইছে।