সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ০৯:৩৬ অপরাহ্ন
Logo
শিরোনাম :
Crafting Your Own Round Stamps Online: Achieve Savings on Time and Money for Your Company Using Our Unique Stamp Builder How to Design Your Personal Round Stamps on the Internet: Conserve Time and Funds for Your Company Using Our Tailored Stamp Creator Launch Your Online Stamp Project Now: Guidance on Selecting the Size, Layout, and Shape for Any PNG Digital File and Downloading It Techniques for Making Your Own Round Stamps on the Web: Reduce Time and Costs for Your Venture with Our Custom Stamp Generator করোনায় বছরের একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু Современные тенденции в архитектуре жилых зданий আগামী কাল বৃহস্পতিবান টিসিবি,র পণ্য বরিশাল সিটিতে সকাল ৮:০০ টা থেকে বিক্রী শুরু শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের ১০ জনের এন-আইডি লক।নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ। বিগত ১৬ বছর নববর্ষে বিদেশি রাষ্ট্রেরও প্রভাব আমরা দেখেছি: সারজিস আলম জনতা ব্যাংকের জিএম মিজানুর রহমানকে কাছে পেয়ে আনন্দিত এলাকার মানুষ Outsmart the Competition Using a Cover Letter Generator Edge Essential Aid: a Cover Letter Generator Забронируйте квартиру на сутки в Гродно с бесплатным Wi-Fi и телевидением Honest Facts via a Cover Letter Generator Доступная квартира на сутки в Гродно без комиссий и скрытых платежей

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মদিন আজ (শুভ জন্মদিন)

রিপোটারের নাম
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০২৪
  • ৫১১ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
স্বাধীন সকাল ডেস্ক: ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু তার বক্তব্যে বলেছিলেন, সাত কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবে না। তিনি এই বাক্যবন্ধে কেবল মাত্র রাজনৈতিক স্বাধীনতার কথা বক্তব্যে বলেননি। মানুষের ওপর মানুষের সব ধরনের শোষণ অন্তাচার বঞ্চনা ও অধীনতার অবসানের কথাও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন। বঙ্গবন্ধু আরো বলেন দাবায়ে রাখতে পারবা না, কথা গুল শুধু একটি জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক স্পৃহা প্রকাশিত হয় না। তাদের আত্মবিশ্বাস ও আত্ম অহংকারেরও প্রতিধ্বনি ঘটে। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর ১৯৪৮ সালের ১১ই মার্চ বাংলাদেশকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে যে ধর্মঘট ডাকা হয়, তা সংগঠিত করতে গিয়ে অন্য সহযোদ্ধাদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব নিজেও গ্রেপ্তার হন। বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর আগেও অনেক নেতা বিক্ষিপ্তভাবে স্বাধীনতার কথা বলেছেন। দেশভাগের প্রাক্কালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী অবিভক্ত স্বাধীন বাংলার প্রতিষ্ঠার কথা বলেছিলেন। চুয়ান্নর নির্বাচনের পর যুক্তফ্রন্টের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেরেবাংলার এ কে ফজলুল হক ঘোষণা দিয়েছিলেন, রাজনৈতিক সীমানা দিয়ে বাঙালিকে বিভক্ত করা যাবে না। সাতান্ন সালেই মাওলানা আবদুল হামিদ খানঁ ভাসানী পাকিস্তানিদের প্রতি, আসসালামু আলাইকুম’ বলেছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশের মানুষকে আন্দোলনের পথে ধাপে ধাপে এগিয়ে নিয়ে চূড়ান্ত মুহূর্তে ঘোষণা দিলেন, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ বাংলাদেশের মানুষও তখন স্বাধীনতার বিকল্প কিছু চিন্তা করেনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের রাজনীতির শুরু গেল শতকের চল্লিশের দশকে, মুসলিম ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে। এরপর তিনি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর শিষ্য হিসেবে যুক্তবঙ্গ আন্দোলনে যুক্ত হন। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর ১৯৪৮ সালের ১১ই মার্চ বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে যে ধর্মঘট হয়, তা সংগঠিত করতে গিয়ে অন্য সহযোদ্ধাদের সঙ্গে শেখ মুজিবুর রহমান তিনি নিজেও গ্রেপ্তার হন। এরপর কারাগার হয়ে ওঠে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর দ্বিতীয় বাসস্থান। পাকিস্তান আমলের ২৪ বছরের মধ্যে ১২ বছরের বেশি সময় তিনি বন্দিজীবন কাটান কারাগারে। শেখ মুজিব ছিলেন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা। তারপরও তিনি সশস্ত্র পথে যে স্বাধীনতার কথা ভেবেছেন, ১৯৬২ সালে গোপনে আগরতলা যাত্রাই তার প্রমাণ। ১৯৬৬ সালে শেখ মুজিব ছয় দফা কর্মসূচি ঘোষণা করলে বাঙালি তার মধ্যে আকাঙ্ক্ষার প্রতিচ্ছবি দেখতে পায়। অন্যদিকে পাকিস্তানিরা ভাবে এটা ছিল বিচ্ছিন্নতার কৌশল। বিরোধী দলের বৈঠকে তারা ছয় দফা উপস্থাপন করতে দেয়নি। ১৯৬৮ সালে আইয়ুব খাঁন বাঙালির স্বাধিনতার আন্দোলন ঠেকাতে শেখ মুজিবসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করেন, যা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা হিসেবে অধিক পরিচিত লাভ পায়। এর পর ধারণা ছিল ভারতকে জড়িয়ে কোনো মামলা হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ শেষ হয়ে যাবে; কিন্তু বাস্তবে হলো উল্টো। আগরতলা মামলাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা গণ-আন্দোলন গণ-অভ্যুত্থানে পরিণত হয় এবং আইয়ুব খাঁনকে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন জননন্দিত নেতা হিসেবে। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সমগ্র পাকিস্তানে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন লাভ করে। এরপরই পাকিস্তানি সামরিক চক্র ও সংখ্যালঘিষ্ঠ দল পিপিপির নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টো চক্রান্ত আঁটেন, যাতে কোনোভাবে আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়। ১৯৭১ সালের ১ই মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করা হলে ঢাকাসহ পুরো বাংলাদেশ হয়ে ওঠে অগ্নিগর্ভ। চলে সর্বাত্মক অসহযোগ। এই প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুকে প্রতিটি সিদ্ধান্ত নিতে হয় চিন্তাভাবনা করে। তিনি যেমন জনগণের তুঙ্গে ওঠা স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষাকে রাশ টানতে চাননি, তেমনি এমন কোনো পদক্ষেপ নেননি, যাতে পাকিস্তানিরা তাঁকে বিচ্ছিন্নতাবাদী আখ্যা দিয়ে সামরিক অভিযান চালানোর সুযোগ পায়। বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চ একতরফা স্বাধীনতা ঘোষণা না করলেও পাকিস্তানি শাসকদের প্রতি তাঁর বার্তা সেটা পরিষ্কারভাবেই জানিয়ে দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, জনগণ তাঁর সঙ্গে আছে, পাকিস্তানিরা যতই শক্তি প্রয়োগ করুক, সফল হবে না। সাত কোটি মানুষকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। ইয়াহিয়া খাঁনের সঙ্গে যখন আলোচনা ভেঙে গেল, তিনি সহকর্মীদের নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার পরামর্শ দিলেও নিজে থেকে যান ৩২ নম্বরেই। স্বাধীনতার জন্য তিনি নিজের জীবনকেই জিম্মি করলেন। পাকিস্তানিরা তাঁকে বিচ্ছিন্নতাবাদী আখ্যা দিয়ে সামরিক অভিযান চালানোর সুযোগ পায়। বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চ একতরফা স্বাধীনতা ঘোষণা না করলেও পাকিস্তানি শাসকদের প্রতি তাঁর বার্তা সেটা পরিষ্কারভাবেই জানিয়ে দিয়েছেন। ২৫ মার্চ রাতে গণহত্যা শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে অধ্যাপক রেহমান সোবহান পাকিস্তান টাইমস–এর সাবেক সম্পাদক মাজহার আলী খানকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান। মাজহার আলী খান সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ইয়াহিয়া ভেবেছেন, আমাকে হত্যা করলেই আন্দোলন দমন করা যাবে। কিন্তু তাঁর মনে রাখা উচিত আমার কবরের ওপর হলেও বাংলাদেশ স্বাধীন হবে।’ ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা না করলেও স্বাধীনতার সাড়ে তিন বছর পর এদেশীয় ঘাতকদের হাতেই তাঁকে জীবন দিতে হয়। এটা কেবল ব্যক্তি নয়, পুরো জাতির জন্য ভয়ংকর ট্র্যাজেডি। ইয়াহিয়া ভেবেছেন, আমাকে হত্যা করলেই আন্দোলন দমন করা যাবে। কিন্তু তাঁর মনে রাখা উচিত ছিল আমাকে হত্যা করলেও আমার দেশের মানুষ বাংলাদেশকে স্বাধীন করবে। মাজহার আলী খাঁন জীবিত অবস্থায় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের রাজনীতির প্রধান চরিত্র ছিলেন, মৃত্যুর পরও। স্বাধীন সকালের পক্ষ থেকে স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১০৪তম জন্মদিনের শ্রদ্ধা জানাই। আমি ধন্য আমি মুসলিম আমি ধন্য আমি বাংলাদেশী।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মদিন আজ (শুভ জন্মদিন)

স্বাধীন সকাল ডেস্ক: ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু তার বক্তব্যে বলেছিলেন, সাত কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবে না। তিনি এই বাক্যবন্ধে কেবল মাত্র রাজনৈতিক স্বাধীনতার কথা বক্তব্যে বলেননি। মানুষের ওপর মানুষের সব ধরনের শোষণ অন্তাচার বঞ্চনা ও অধীনতার অবসানের কথাও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন।
বঙ্গবন্ধু আরো বলেন দাবায়ে রাখতে পারবা না, কথা গুল শুধু একটি জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক স্পৃহা প্রকাশিত হয় না। তাদের আত্মবিশ্বাস ও আত্ম অহংকারেরও প্রতিধ্বনি ঘটে।
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর ১৯৪৮ সালের ১১ই মার্চ বাংলাদেশকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে যে ধর্মঘট ডাকা হয়, তা সংগঠিত করতে গিয়ে অন্য সহযোদ্ধাদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব নিজেও গ্রেপ্তার হন।

বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর আগেও অনেক নেতা বিক্ষিপ্তভাবে স্বাধীনতার কথা বলেছেন। দেশভাগের প্রাক্কালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী অবিভক্ত স্বাধীন বাংলার প্রতিষ্ঠার কথা বলেছিলেন। চুয়ান্নর নির্বাচনের পর যুক্তফ্রন্টের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেরেবাংলার এ কে ফজলুল হক ঘোষণা দিয়েছিলেন, রাজনৈতিক সীমানা দিয়ে বাঙালিকে বিভক্ত করা যাবে না। সাতান্ন সালেই মাওলানা আবদুল হামিদ খানঁ ভাসানী পাকিস্তানিদের প্রতি, আসসালামু আলাইকুম’ বলেছিলেন।
কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশের মানুষকে আন্দোলনের পথে ধাপে ধাপে এগিয়ে নিয়ে চূড়ান্ত মুহূর্তে ঘোষণা দিলেন, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ বাংলাদেশের মানুষও তখন স্বাধীনতার বিকল্প কিছু চিন্তা করেনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের রাজনীতির শুরু গেল শতকের চল্লিশের দশকে, মুসলিম ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে। এরপর তিনি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর শিষ্য হিসেবে যুক্তবঙ্গ আন্দোলনে যুক্ত হন। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর ১৯৪৮ সালের ১১ই মার্চ বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে যে ধর্মঘট হয়, তা সংগঠিত করতে গিয়ে অন্য সহযোদ্ধাদের সঙ্গে শেখ মুজিবুর রহমান তিনি নিজেও গ্রেপ্তার হন।
এরপর কারাগার হয়ে ওঠে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর দ্বিতীয় বাসস্থান। পাকিস্তান আমলের ২৪ বছরের মধ্যে ১২ বছরের বেশি সময় তিনি বন্দিজীবন কাটান কারাগারে।
শেখ মুজিব ছিলেন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা। তারপরও তিনি সশস্ত্র পথে যে স্বাধীনতার কথা ভেবেছেন, ১৯৬২ সালে গোপনে আগরতলা যাত্রাই তার প্রমাণ।
১৯৬৬ সালে শেখ মুজিব ছয় দফা কর্মসূচি ঘোষণা করলে বাঙালি তার মধ্যে আকাঙ্ক্ষার প্রতিচ্ছবি দেখতে পায়। অন্যদিকে পাকিস্তানিরা ভাবে এটা ছিল বিচ্ছিন্নতার কৌশল। বিরোধী দলের বৈঠকে তারা ছয় দফা উপস্থাপন করতে দেয়নি। ১৯৬৮ সালে আইয়ুব খাঁন বাঙালির স্বাধিনতার আন্দোলন ঠেকাতে শেখ মুজিবসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করেন, যা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা হিসেবে অধিক পরিচিত লাভ পায়। এর পর ধারণা ছিল ভারতকে জড়িয়ে কোনো মামলা হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ শেষ হয়ে যাবে; কিন্তু বাস্তবে হলো উল্টো। আগরতলা মামলাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা গণ-আন্দোলন গণ-অভ্যুত্থানে পরিণত হয় এবং আইয়ুব খাঁনকে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন জননন্দিত নেতা হিসেবে।
১৯৭০ সালের নির্বাচনে তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সমগ্র পাকিস্তানে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন লাভ করে। এরপরই পাকিস্তানি সামরিক চক্র ও সংখ্যালঘিষ্ঠ দল পিপিপির নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টো চক্রান্ত আঁটেন, যাতে কোনোভাবে আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়। ১৯৭১ সালের ১ই মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করা হলে ঢাকাসহ পুরো বাংলাদেশ হয়ে ওঠে অগ্নিগর্ভ। চলে সর্বাত্মক অসহযোগ।
এই প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুকে প্রতিটি সিদ্ধান্ত নিতে হয় চিন্তাভাবনা করে। তিনি যেমন জনগণের তুঙ্গে ওঠা স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষাকে রাশ টানতে চাননি, তেমনি এমন কোনো পদক্ষেপ নেননি, যাতে পাকিস্তানিরা তাঁকে বিচ্ছিন্নতাবাদী আখ্যা দিয়ে সামরিক অভিযান চালানোর সুযোগ পায়। বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চ একতরফা স্বাধীনতা ঘোষণা না করলেও পাকিস্তানি শাসকদের প্রতি তাঁর বার্তা সেটা পরিষ্কারভাবেই জানিয়ে দিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধুর দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, জনগণ তাঁর সঙ্গে আছে, পাকিস্তানিরা যতই শক্তি প্রয়োগ করুক, সফল হবে না। সাত কোটি মানুষকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। ইয়াহিয়া খাঁনের সঙ্গে যখন আলোচনা ভেঙে গেল, তিনি সহকর্মীদের নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার পরামর্শ দিলেও নিজে থেকে যান ৩২ নম্বরেই। স্বাধীনতার জন্য তিনি নিজের জীবনকেই জিম্মি করলেন।
পাকিস্তানিরা তাঁকে বিচ্ছিন্নতাবাদী আখ্যা দিয়ে সামরিক অভিযান চালানোর সুযোগ পায়। বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চ একতরফা স্বাধীনতা ঘোষণা না করলেও পাকিস্তানি শাসকদের প্রতি তাঁর বার্তা সেটা পরিষ্কারভাবেই জানিয়ে দিয়েছেন।
২৫ মার্চ রাতে গণহত্যা শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে অধ্যাপক রেহমান সোবহান পাকিস্তান টাইমস–এর সাবেক সম্পাদক মাজহার আলী খানকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান। মাজহার আলী খান সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ইয়াহিয়া ভেবেছেন, আমাকে হত্যা করলেই আন্দোলন দমন করা যাবে। কিন্তু তাঁর মনে রাখা উচিত আমার কবরের ওপর হলেও বাংলাদেশ স্বাধীন হবে।’
১৯৭১ সালে পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা না করলেও স্বাধীনতার সাড়ে তিন বছর পর এদেশীয় ঘাতকদের হাতেই তাঁকে জীবন দিতে হয়। এটা কেবল ব্যক্তি নয়, পুরো জাতির জন্য ভয়ংকর ট্র্যাজেডি।
ইয়াহিয়া ভেবেছেন, আমাকে হত্যা করলেই আন্দোলন দমন করা যাবে। কিন্তু তাঁর মনে রাখা উচিত ছিল আমাকে হত্যা করলেও আমার দেশের মানুষ বাংলাদেশকে স্বাধীন করবে। মাজহার আলী খাঁন জীবিত অবস্থায় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের রাজনীতির প্রধান চরিত্র ছিলেন, মৃত্যুর পরও। স্বাধীন সকালের পক্ষ থেকে স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১০৪তম জন্মদিনের শ্রদ্ধা জানাই।
আমি ধন্য আমি মুসলিম আমি ধন্য আমি বাংলাদেশী

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2024 swadhinsakal.com Design By Ahmed Jalal.
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD
jphostbd.com