রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৩:২৮ অপরাহ্ন
Logo

ইসলামিক জীবন যাপন এই ৭ টি অভ্যাস আমাদের প্রিয় নবী রাসূল(সাঃ) কখনোই ছাড়তেননা

md.sujon Ali Akon
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ৪৮৫ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
কিছু প্রশ্ন করলেন, যার উত্তর নবী ছাড়া অন্য কারো পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়।
কিছু প্রশ্ন করলেন, যার উত্তর নবী ছাড়া অন্য কারো পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়।

স্বাধীন সকাল ডেস্ক: আসসালামুআইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাত।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবনের সাতটি গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস জানব যা মানব দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারি। এবং বিজ্ঞনীরা ওনার প্রাত্যহিক জীবনের কার্যাবলী নিয়ে গবেষণা করেছেন, এবং মুসলিম বিজ্ঞানীরা এই সাতটি অভ্যাসকে শ্রেষ্ঠ অভ্যাস বলেছেন।
১। সকাল সকাল ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়াঃ মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে জাগতেন এবং দ্বীনের কাজ শুরু করতেন আজ বিজ্ঞান প্রমাণ করে যে, সকাল সকাল ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়া মানুষের মধ্যে প্রডাক্টিভিটি বেশি থাকে। এবং সেইসঙ্গে যারা দ্রুত ঘুম থেকে উঠে তাদের হতাশা কিংবা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়ার সম্ভবনাও কম থাকে।
২। স্বল্প আহার গ্রহণঃ মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ রোগ ও অসুস্থতা প্রতিরোধ করার জন্য কম খেতেন। বহু বছর পরে বিজ্ঞান আজ প্রমান করে যে, স্বল্প আহার গ্রহণ আমাদের মধ্যে অনেক রোগ প্রতিরোধ খমতা বৃদ্ধি করে।
৩। ধীরে ধীরে খাদ্য খাওয়ার পরে মস্তিষ্কের সংকেত আসতে ৩০ মিনিট সময় লাগে। যা বলে যে, তাই অনেক সময় দেখা যায় ভরাপেট খাওয়ার ৩০ মিনিট পরমানুষের কাছে অস্বস্তি বোধ হয়, কারন সে খুব বেশি খেয়ে য়েলেছে। তাই পেট খালি থাকতেই খাওয়া বন্ধ করা উচিৎ। দেখবেন ৩০ মিনিট পরে আপনার মনে হবে আপনার পেট পূর্ণ হয়ে গেছে। অথবা ধীরে ধীরে খাবার খেতে পারেন যার ফলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার পেট ভরে গেছে।
৪। পরিবারের সঙ্গে খাবার খাওয়াঃ আমাদের নবী সাঃ সব সময় পরিবারের সবাইকে একসঙ্গে সাথে নিয়ে খাওয়ার বেপারে উৎসাহিত করতেন। আজ বিজ্ঞান বলে যে, পরিবারের সবাই একসঙ্গে খাবার খেলে, অনেকাংশে মানসিক চাপকমে যায়।
৫। তিন শ্বাসে পানিপানঃ করা মহানতী সাঃ তিন শ্বাসে পানিপান করতেন। এটা সুন্নাহ। আজ বিজ্ঞানীরা দাবি করে যে, একসঙ্গে পানিপানঃ করলে আমাদের ব্লাড এর ইলেক্ট্রোনাইট গুলো ইনক্রিজ হয়ে যায় অর্থাৎ বেড়ে যায়। এর ফলে মাথাব্যথা, মাথা ঘোরানো এবং ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি হতে পারে।
৬। রোজা রাখতেনঃ রাসূলূল্লাহ সাঃ মুসলমানদেরকে রমজান মাসে রোজা রাখতে বলেছিলেন। এবং তিনিও নিয়মিত রোজা রাখতেন। আজ জাপানি বিজ্ঞানীরা রমজান মাসে রোজার ঘোষণা করেছে। এবং তারা বলেছে যে, রোজা অত্যান্ত স্বাস্থ্যকর। এবং শরীরের ক্যান্সার কোষগুলির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করে।
৭। সুস্থ থাকাঃ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে তিনটিই মানুষকে শারীরিকভাবে ফিট এবং সুস্থ রাখে নামাজ আদায় করাটাও একটা শারীরিক ব্যায়াম। বিজ্ঞান অবশ্যই আমাদের ‍হৃদয় এবং মস্তিষ্ট সুস্থ রাখতে প্রতিদিন ব্যায়াম করার পরামর্শ দিয়ে থাকে। নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করাটা একজন মানুষের শারীরিক ব্যায়ামের প্রয়োজন পূরণ করতে পারে। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অভ্যাসগুলো যদি আমরা আয়ত্তে আনতে পারি, তাহলে একই সঙ্গে তাঁর সুন্নতের অনুসরণের পাশাপাশি আত্মিক পরিশুদ্ধির পাশাপাশি শারীরিকভাবেও সুস্থ ও সবল থাকতে পারবো। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে তৌফিক দান করুক যেন আমরা রাসুল সাঃ এর বর্ণিত এই ৭ টি বিধান অন্ততও বিশেষ গুরুত্তের সাথে পালন করতে পারি এবং দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ হাসিল করতে পারি। আমিন।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

One thought on "ইসলামিক জীবন যাপন এই ৭ টি অভ্যাস আমাদের প্রিয় নবী রাসূল(সাঃ) কখনোই ছাড়তেননা"

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2024 swadhinsakal.com Design By Ahmed Jalal.
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD
jphostbd.com